বরগুনা ব্যুরো:
বরগুনার তালতলীতে এক নারীতে ধরাশায়ী তিন চেয়ারম্যান ও ছাত্রগীগ নেতা। আলোচিত আপত্তিকর ভিডিওর ঘটনার জেরে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে আমতলী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা করেছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুর রাজ্জাক হাওলাদার।বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) ম্যাজিস্ট্রেট আরিফুর রহমান মামলাটি গ্রহন করে বরগুনার ডিবি প্রধানকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। আবদুর রাজ্জাক হাওলাদার পচাকোড়ালিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান।
আসামীরা হল, তালতলী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ছোট বগী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান তৌফিকুজ্জামান তনু। তার ছোট ভাই উপজেলা যুবলীগ নেতা তারেকুজ্জামান তারিক, এখন টেলিভিশনের স্টাফ রিপোর্টার আরিফ হোসেন, যুগান্তরের আমতলী প্রতিনিধি জসিম শিকদার, কড়ইবাড়িয়া ইউনিয়নের শফিকুল ইসলাম ইমন, মোঃ মিলন গাজী, ছোটবগীর ঠং পাড়া গ্রামের মোঃ ফারুক ও পচাকোড়ালিয়া ইউনিয়নের তাশরিফ আহমেদ জুয়েল।
জানা যায়, বাদি আবদুর রাজ্জাক হাওলাদার অভিযোগ করেন, তিনি একজন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান। আসামী তৌফিকুজ্জামান তনু ২০২২ সালের ১০ অক্টোবর তার ফেসবুক আইডির ম্যাসেঞ্জারে একটি আপত্তিকর ভিডিও বাদিকে প্রেরণ করেন। ভিডিওটি প্রেরণ করে একটি ক্ষুদে বার্তা দেন, তার বড় ভাই মনিরুজ্জামান মিন্টুর পক্ষে উপজেলা নির্বাচন করতে হবে। তার ভাইয়ের নির্বাচন না করলে ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দেয়। এ ছাড়া বিভিন্ন সময়ে তৌফিকুজ্জামান তনু ওই ভিডিও ভাইরাল করার ভয় দেখিয়ে ৫০ লাখ টাকা দাবি করেন। এ মাসের ৩ এপ্রিল বাদী ব্যাংকে যাওয়ার সময় মামলার ২নং আসামি তাকে তার অফিসে ডেকে নিয়ে একই ঘটনায় ৫০ লাখ টাকা দাবী করে। এসময় বাদী টাকা দিতে অস্বীকার করলে তার ব্যাগে থাকা পাঁচ লাখ টাকা ২নং আসামি জোড় পূর্বক আদায় করেন।
বাদী আবদুর রাজ্জাক হাওলাদার বলেন, উদ্দেশ্য মূলক ভাবে আমাকে সমাজে ছোট করার জন্য আসামীরা সিরিজ ভিডিও সৃস্টি করেছে। তাদের বিরুদ্ধে আদালতে পর্নোগ্রাফি আইনের মামলা করেছি। আদালত মামলা আমলে নিয়ে গোয়েন্দা পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। এ ব্যাপারে আসামী তৌফিকুজ্জামান তনু বলেন, বাদিসহ কয়েকজন চেয়ারম্যানের কয়েকটি অশ্লীল ভিডিও সামাজিক যোগাযোগে দেখেছি। এক চেয়ারম্যান বাদি হয়ে সেই মেয়ের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। মেয়েটি জেল হাজতে। এই ঘটনায় আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। আমার বিরুদ্ধে কেন আবদুর রাজ্জাক হাওলাদার মামলা করেছে তা সেই ভালো জানেন। তিনি বলেন, মামলা হওয়া উচিৎ আবদুর রাজ্জাক হাওলাদারের বিরুদ্ধে। একটি মেয়েকে ধর্ষণ করেছেন। পৃথিবীর সব মানুষ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখেছেন।
এব্যাপারে জেলা গোয়েন্দা শাখার অফিসার ইনচার্জ মোঃ বশির আলম বলেন, আদালতের নির্দেশ হাতে পেলে বিধি মোতাবেক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।