সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সুমন সম্মানির ভাতা প্রকাশ করলেন

BanglaPost21

অনলাইন ডেস্ক:
হবিগঞ্জ-৪ আসন থেকে নির্বাচিত জাতীয় সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন তার প্রাপ্য সম্মানী ভাতা পেয়ে প্রকাশ করলেন। জনগণ জানতে পেরেছেন একজন সংসদ সদস্যের মাসিক সম্মানি ভাতাসহ আনুষঙ্গিক কি কি ভাতা পেয়ে থাকেন। ব্যারিস্টার সুমনের এমন উদ্যোগকে অনেকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। একজন সুমন নয় গোটা জাতি জানতে পেরেছেন একজন জাতীয় সংসদের সদস্যগণ কত টাকা সম্মানি পেয়ে থাকেন। সোমবার (৮ এপ্রিল) বিকেল পৌনে ৪টায় সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন তার ভেরিফাইড ফেসবুক আ্যাকউন্টে এক পোস্টের মাধ্যমে ভাতার বিবরণী প্রকাশ করেন। এমন তথ্য প্রকাশ করায় ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন প্রশংসায় ভাসছেন। কেহ কেহ মন্তব্য করেছেন বাংলার ফাটাকেস্ট।

ক্যাপশনে তিনি লিখেন, ‘সংসদ সদস্য হিসাবে সম্মানি ভাতা পেলাম। আমার এলাকা মাধবপুর-চুনারুঘাটের মানুষের জানা উচিত আপনাদেরকে সেবার বিপরীতে আমি কত টাকা ভাতা পাচ্ছি।

ওই পোস্টর ভাতা বিবরণীতে জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের অডিট ইউনিটের নিরীক্ষা ও হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা, অডিটর ও সুপারের স্বাক্ষর রয়েছে।

বিবরণীতে দেখা যায়, ফেব্রুয়ারি ২০২৪ মাসের সর্বসাকুল্যে তিনি ভাতা পেয়েছেন ১ লাখ ৭২ হাজার ৯৭৩ টাকা। এর মধ্যে মাসের পারিতোষিক ৫৫ হাজার টাকা, নির্বাচনী এলাকা ভাতা ১২ হাজার ৫০০টাকা, নির্বাচনী এলাকায় অফিস পরিচালনা ভাতা ১৫ হাজার টাকা, টেলিফোন ভাতা ৭ হাজার ৮০০টাকা, কাপড় ধোলাই ভাতা এক হাজার ৫০০ টাকা, নিয়ামক ভাতা ৫ হাজার টাকা, মোটরযান রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয় ৭০ হাজার টাকা ও অন্যান্য ভাতা ৬ হাজার টাকা পেয়েছেন। তবে উৎসে আয়কর কর্তন ও স্ট্যাম্প বাবদ ৬২৭ টাকা কর্তন করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হবিগঞ্জ-৪ আসনে প্রায় এক লাখ ৭০ হাজার ভোট পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন বিজয়ী হন। মাধবপুর ও চুনারুঘাট উপজেলা নিয়ে গঠিত এই আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ব্যারিস্টার সুমন ফেইসবুকের অতি পরিচিত মুখ। দ্বাদশ নয় কোনো সংসদের সদস্যগণ স্বাধীনতার দীর্ঘ বছরে তাদের সম্মানি ভাতার তথ্য প্রকাশ করেনি। শুধু তাই নয়, তিনি সরকারী ভাবে যে টুকু বরাদ্দ পেয়ে থাকেন সব টুকু জনসম্মুখে প্রকাশ করেন।তিনি তার বরাদ্দ দিয়ে কি কি উন্নয়ন মূলক কাজ করেন তাও প্রকাশ করেন। কয়েকদিন আগে তিনি বলেছেন, সরকার আমাকে তিন দফায় ২৯ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন। এই টাকা আমার বাবা আমার জন্য রেখে যায়নি। এই টাকা জনগণের। আমি এই টাকা দিয়ে কি কি উন্নয়ন মূলক কাজ করব আমার সংসদীয় এলাকার প্রত্যেক জনগণ জানবে। আমি কি কি উন্নয়ন মূলক কাজ করলাম তার হিসাব মহান জাতীয় সংসদে হিসাব দেব। ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনের এমন বক্তব্যে অনেকে মন্তব্য কনেছেন ব্যারিস্টার সুমন বাংলার ফাটাকেস্ট। আবার অনেকে মন্তব্য করেছেন, এতদিন জনগণ জানতে পারেননি একজন সংসদ সদস্য কত টাকা বরাদ্দ পায়। তারা সেই বরাদ্দের টাকা কোথায় কী ভাবে ব্যয় করেন। একজন ব্যারিস্টার সুমনের জন্য দেশের জনগণ সব কিছু জানতে পেরেছেন। অনেকে মন্তব্য করেন, দেশের ৩৫০ জন সংসদ সদস্য এবং মন্ত্রীরা কতটাকা বরাদ্দ পায়, জনকল্যানে কি কি কাজ করেন তা জনসম্মুখে প্রকাশ করা।