মালদ্বীপের পার্লামেন্টে মুইজ্জুর দলের নিরঙ্কুশ জয়

BanglaPost21
ছবি সংগৃহীত

অনলাইন ডেস্ক:
মালদ্বীপের পার্লামেন্ট নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট মোহামেদ মুইজ্জুর দল নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে জয় পেয়েছে।দেশটির পার্লামেন্ট পিপলস মজলিশের নিয়ন্ত্রণ কোন দল পাবে তা নির্ধারণে রোববার ভোট অনুষ্ঠিত হয়। প্রায় সাড়ে ৯ ঘণ্টা ভোট গ্রহণ শেষে নির্বাচন কমিশন বেশির ভাগ আসনের ফল ঘোষণা করেন।

এতে দেখা গেছে মুইজ্জুর পিপলস ন্যাশনাল কংগ্রেস (পিএনসি) পার্লামেন্টের ৯৩ আসনের দুই তৃতীয়াংশে জয় পেয়েছে। নির্বাচন কমিশন ৯৩টি আসনের মধ্যে ৮৬টির ফল ঘোষণা করেন। পিএনসি ৬৬টিতে জয়লাভ করে।
উল্লেখ্য, বিদায়ী পার্লামেন্টে পিএনসি ও তাদের শরিকদের মাত্র আটটি আসন ছিল। পার্লামেন্টের নিয়ন্ত্রণ ছিল তাঁর পূর্বসূরি ভারতপন্থী ইব্রাহিম মোহামেদ সালেহর দল মালদিভিয়ান ডেমোক্রেটিক পার্টির (এমডিপি) হাতে। এই কারণে মুইজ্জুর দলকে পার্লামেন্টে আইন পাশে বেগ পেতে হচ্ছিল।

পার্লামেন্টের এই নির্বাচনকে তাই চীনপন্থী মোহামেদ  মুইজ্জুর জন্য কঠিন পরীক্ষা হিসেবে বিবেচনা করছিল বিশ্লেষকগণ।

গত বছরের সেপ্টেম্বরে মোহামেদ মুইজ্জু (৪৫) দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। তিনি মালদ্বীপের সাবেক প্রেসিডেন্ট আবদুল্লাহ ইয়ামিনের মতো চীনপন্থী অবস্থান নেন। দুর্নীতির অভিযোগে ইয়ামিনের ১১ বছরের কারাদ- হয়। তবে গত সপ্তাহে আদালত এই সাজা বাতিল করে এবং তিনি মুক্তি পান।

এদিকে চলতি মাসে পার্লামেন্ট নির্বাচনের প্রচারণার সময়ে মুইজ্জু মালদ্বীপে অবকাঠামো নির্মাণে চীনের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বড় ধরনের চুক্তি করেন। এছাড়া তাঁর প্রশাসন বর্তমানে মালদ্বীপে থাকা ভারতীয় সেনাদের দেশে ফেরত পাঠানোর কাজ করছে।

মুইজ্জুর একজন সহকারী বলেছেন, ভারতীয় সেনাদের দেশে ফেরত পাঠানোর প্রতিশ্রুতির ভিত্তিতে তিনি ক্ষমতায় এসেছেন। কিন্তু ক্ষমতায় আসার পর থেকে পার্লামেন্ট তাকে কোন সহযোগিতা করেনি।

বরং পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা না থাকায় বিরোধী পক্ষের আইনপ্রণেতাদের আপত্তির মুখে মুইজ্জুর মনোনীত তিনজন মন্ত্রী মন্ত্রিসভায় যোগ দিতে পারেনি। এছাড়া মুইজ্জুর প্রস্তাবিত কয়েকটি বিলও পাশ করা সম্ভব হয়নি।
এদিকে ভোট গ্রহণ শেষে নির্বাচন কমিশন প্রধান ফুয়াদ তওফিক বলেছেন, নির্বাচনে ৭৩ শতাংশ ভোটার ভোট দিয়েছে। তথ্য- বাসস।