বেতাগী সংবাদদাতা
হেলিকপ্টারে ভ্রাম্যমান খাবার হোটেল এখন বরগুনার বেতাগীতে। হেলিকপ্টারটি দেখতে উৎসুক জনতার ভির জমেছে। কেহ হেলিকপ্টারে উঠে ঘুরে ঘুরে দেখে। আকাঁশে উড়ার সাধ না পেলেও আনন্দের কমতি নেই।
জানা যায়, শনিবার দুপুরে বেতাগী পৌর এলাকার পুরাতন ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত ভবন এলাকায় মাঠের মধ্যে দাঁড়িয়ে আছে হেলিকপ্টার ভ্রাম্যমান খাবার হোটেল। কেউ ঘুরে দেখছেন হেলিকপ্টারটি। আবার কেউবা তুলছেন ছবি। ভেতরে ঢুকতেই অবাক হবেন যে কোন ব্যক্তি। কারণ এটি আকাশচারী কোনো যান নয়। হেলিকপ্টারের আদলে তৈরি চার চাকার সড়কে চলার হেলিকপ্টার ভ্রাম্যমান খাবার হোটেল।
ব্যতিক্রম এই হেলিকপ্টার ভ্রাম্যমান খাবার হোটেলর প্রথম যাত্রা শুরু করেছে ২০২৩ সালের ১৬ ডিসেম্বর পটুয়াখালীর ঝাউতলায়। যা মানুষের চাহিদা অনুযায়ী সড়কপথে ৬৪ জেলাসহ প্রত্যেক উপজেলায় নিয়ে যাবার কথা জানান উদ্যোক্তারা।
পটুয়াখালী সদর উপজেলার ছোট বিঘাই ইউনিয়নের কাজীর হাট বাজারে ওয়ার্কশপ মিস্ত্রি মেহেদীর হেলিকপ্টার ভ্রাম্যমান খাবার হোটেল তৈরী করেন। হেলিকপ্টারের আদলে তৈরি এবং পাখা ঘোরার ফলে দর্শনার্থীদের কাছে টানছে। হেলিকপ্টার তৈরীতে সহযেগিতা করেন তার দুই বন্ধু আরিফ ও আল-আমিন। মেহেদী বলেন, শুরুর দিকে আমাদের কার্যক্রম নিয়ে স্থানীয়রা হাস্যরস করলেও পরে তারা প্রশংসা করেছেন। তিনি বলেন, আমাদের অভাবের সংসারে আমার পড়াশোনা করা সম্ভব হয়নি। সংসারে ঘানি টানতে একটি ওয়ার্কশপে কাজ শুরু করি। তখন থেকেই ভিন্ন কিছু করার চিন্তা করতে থাকি। এক পর্যায়ে বানিয়ে তৈরী করি এই হেলিকপ্টারটি। তিনি আরও বলেন, হেলিকপ্টার ‘বানাতে চেয়েছিলাম না। তৈরী করতে চেয়েছিলাম প্লেন। কিন্তু এতে খরচ বেশি হওয়ায় হেলিকপ্টার বানাই। অর্থের অভাবে আমি আরিফুল ইসলাম ও আল-আমিনসহ আমরা তিন বন্ধু মিলে নির্মাণকাজ সম্পন্ন করি। হেলিকপ্টারের ভেতরে হেলিকপ্টার ভ্রাম্যমান খাবার হোটেল বানিয়ে সারা বাংলাদেশ ঘোরার পরিকল্পনা রয়েছে আমাদের। সে লক্ষ্যেই মুলত এটি তৈরি করেছি। তিনি আরও বলেন, হেলিকপ্টার ভ্রাম্যমান খাবার হোটেল’ তৈরিতে প্রায় সাত মাস সময় লেগেছে। এতে প্রায় ২০ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে। এ হেলিকপ্টার ভ্রাম্যমান খাবার হোটেল নিয়ে ৬৪ জেলায় ঘুরতে চাই আমরা তিন বন্ধু। হেলিকপ্টারের আদলে এটি তৈরি হওয়ায় এর নামকরণ করা হয়েছে হেলিকপ্টার ভ্রাম্যমান খাবার হোটেল।