বরগুনা ব্যুরো:
বিয়ে পাগল শহিদুল ইসলাম। ক্রমাগত বিয়ে করেই চলছেন। তার বিয়ে কেহ থামাতে পারছে না। ১৭তম বিয়ে করতে গেলে ১৬তম স্ত্রী বাধা দিলে তাকে বেধড়ক পিটিয়ে গুরুতর জখম করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার দুপুরে বরগুনা জেলার আমতলী উপজেলার কুকুয়া ইউনিয়নের পূর্ব কুকুয়া গ্রামে। শহিদুল ইসলাম পুর্ব কুকুয়া গ্রামের আবদুল আজিজ মৃধার ছেলে।
জানা যায়, বিয়ে পাগল শহীদুল ইসলাম প্রতি বছর একটি করে বিয়ে করেন। বিয়ে করা তার নেশা। বিয়ে করতে করতে ১৬টিতে দাড়িয়েছে। তবে তিনি সব বউদের বেশিদিন রাখেন না। কিছুদিন গেলেই তালাক দিয়ে নতুন বউ খুজঁতে থাকে। শহিদুল ৪০ বছর বয়সে গত ২০ বছরে ১৬ জনকে বিয়ে করেন। এরমধ্যে ১৫ জনকে তালাক দিয়েছেন। রিনা আক্তার তার ১৬তম বউ। গত বছর ৭ ফেব্রুয়ারী রিনা আক্তারকে শহিদুল বিয়ে করেন। রিনার একটি কন্যা সন্তান হওয়ায় তার প্রতি মুখ ফিরিয়ে নেয় শহিদুল। ১৭তম বিয়ে খুজঁতে নামে শহিদুল ইসলাম। এ সময় তার ১৬তম বউ রিনা আক্তার বিয়েতে বাধা দেয়। এতে শহিদুল ক্ষিপ্ত হয়ে রিনা আক্তারকে বেধড়ক মারধর করে আহত করেন। রিনা আক্তারের স্বজনরা তাঁকে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
রিনা আক্তার অভিযোগ করে বলেন, আমার স্বামী শহীদুল ইসলাম এ পর্যন্ত ১৬টি বিয়ে করেন। ১৭তম বিয়ে করতে এখন উঠে পড়ে লেগেছেন। এতে আমি বাঁধা দেওয়ায় আমাকে পিটিয়ে মারাত্মক জখম করেছেন।
স্থানীয়রা বলেন, শহীদুল প্রতি বছর একটি করে বিয়ে করে। কয়েকদিন পর আবার বউ তালাক দিয়ে নতুন বিয়ে করে। বিয়ে করা শহিদুলের নেশায় পরিনত হয়েছে। এলাকার ভদ্র মানুষ শহিদুলকে এড়িয়ে চলে।
রিনার মা মাজেদা বেগম বলেন.শহিদুল নাকি আবারও বিয়ে করতে চায়। আমার মেয়ে বাঁধা দেওয়ায় শহিদুল তাঁকে মারধর করছে।
শহীদুল ইসলাম বলেন, বিয়ে করা আমার ব্যক্তিগত অধিকার। আমার অধিকারে কেহ বাঁধা দিলে আমি সহ্য করতে পারি না। আমার বউ রিনা আমাকে অকথ্য ভাষায় গালি দিয়েছে। আমি রিনাকে মারিনি। দুটো থাপ্পড় দিয়েছি। এটি কোনো অন্যায় করিনি।
আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, এ ব্যাপারে থানায় কেহ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেব।