বিচারকের সঙ্গে অশোভন আচরণে হাইকোর্টে বিশেষ পিপিকে তলব

BanglaPost21
ছবি সংগৃহীত

অনলাইন ডেস্ক:
এজলাসে বিচারকাজ করার সময় উচ্চ স্বরে কথা বলা, মামলা শুনানির সময় ঘটনা নিয়ে সামাজিক যোগযোগ মাধ্যম ফেসবুকে লাইভে এসে মিথ্যা, বানোয়াট ও সম্মানহানিকর ভাবে প্রকাশ করার অভিযোগ এনে লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে খুলনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ২-এর বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট জহিরুল ইসলাম পলাশকে তলব করেছে হাই কোর্ট।

বুধবার বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বপ্রণোদিত ভাবে এ আদেশ দিয়েছেন।

আগামী ৭ মে তাকে সশরীরে হাজির হয়ে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে তার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার ঘটনায় কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।

উল্লেখ্য, ৩১ মার্চ খুলনা মেট্রোপলিটন আদালতের বিচারক তরিকুল ইসলামকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মিথ্যা ও হেয়প্রতিপন্নমূলক ভিডিও প্রকাশ এবং আদালতে অশালীন আচরণের ঘটনায় খুলনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ২-এর বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর জহিরুল ইসলাম পলাশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে প্রধান বিচারপতি বরাবর চিঠি দেন।

লিখিত আবেদনে বিচারক লিখেছেন, এজলাসে বিচার কাজ করার সময় খুলনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ২-এর বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট জহিরুল ইসলাম পলাশ উচ্চস্বরে কথা বলেন। শুধু আদালত অবমাননাই নয় শুনানির সময় আদালতের ঘটনা নিয়ে সামাজিক যোগযোগ মাধ্যম ফেসবুকে লাইভে এসে মিথ্যা, বানোয়াট ও সম্মানহানিকর ভাবে তথ্য প্রকাশ করেন।

চিঠিতে আরও বলা হয়,ওই বিষয়টি ২৬ মার্চ স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভার শুরুতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ২-এর বিচারক বলেন, তার ব্যক্তিগত ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারে ওই আইনজীবী সোশ্যাল মিডিয়াতে তার প্রদত্ত ভিডিও চিত্র সেন্ড করেছেন। যা উপস্থিত খুলনা বিচার বিভাগে কর্মরত আমার স্থানীয় কর্তৃপক্ষ (মাননীয় মহানগর দায়রা জজ ও মাননীয় সিএমএম মহোদয়) ও অন্যান্য বিচারকরা জেনেছেন, শুনেছেন। ওই ভিডিওতে বিচারক হিসেবে আমাকে দুর্নীতিবাজসহ আরও অনেক বিষয়ে মিথ্যা, বানোয়াট এবং সম্মানহানিকর বক্তব্য দেওয়া হয়েছে।