বরগুনার দুর্গত এলাকা সংসদ সদস্যের পরিদর্শন

BanglaPost21
বরগুনা ব্যুরো: বরগুনা-১ আসনের সংসদ সদস্য গোলাম সরোয়ার টুকু আজ শুক্রবার সকালে বরগুনা সদর উপজেলা ঢলুয়া ইউনিয়নের বন্যা দূর্গত এলাকা এবং মাঝেরচর পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেড়িবাঁধ পরিদর্শন করেন। এ সময় তার সঙ্গে স্থানীয় চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মিরা ছিলেন। জানা যায়, সকালে সদর উপজেলার ঢলুয়া ইউনিয়নের রেমালে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন। মানুষের দু:খ দুর্দশার কথা শুনেন। সংসদ সদস্য ওই সব এলাকায় রেমালে বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পায়ে হেটে দেখেন। পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, দ্রুত সময় ভাঙ্গা বেড়িবাঁধ মেরামত করে দেওয়ার জন্য বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীকে বলেছি। নির্বাহী প্রকৌশলী বলেছেন, অল্পদিনের মধ্যে ক্ষতিগ্রস্থ বেড়িবাঁধ মেরামত করে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। পরে তিনি স্পীড বোর্ডে মাঝেরচরে যান। সেখানে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা দেখেন। সংক্ষিপ্ত এক সভায় তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের সময় আমি বিদেশে ছিলাম। আমার এলাকায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এই সংবাদ শুনে ও ভিডিও দেখে সফর সংক্ষিপ্ত করে আপনাদের জন্য দ্রুত দেশে চলে আসছি। ৩০ তারিখ মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর সঙ্গে কলাপাড়ায় দেখা করেছি। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রান প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি। আমার এলাকার সমস্যার কথা বলেছি। ইতিমধ্যে সরকারী ভাবে আর্থিক সহায়তা আসছে। আরও সহায়তা আসবে। আপনারা ধৈর্য্য ধরবেন। কোনো মানুষ কস্টে থাকবেন না। আমি আপনাদের পাশে আছি। যে সব বেড়িবাঁধ ক্ষতি হয়েছে অল্প দিনের মধ্যে সে গুলো মেরামত করা হবে। বিকেলে বরগুনা জেলা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কার্যালয় যান সংসদ সদস্য। ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজারের নিকট সংসদ সদস্য জানতে চেয়েছেন গ্রামাঞ্চলে শতভাগ বিদ্যুৎ দিতে কতদিন সময় লাগবে। ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার জানান, ইতিমধ্যে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বাজারে ও সড়কে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়েছে। তিনি সংসদ সদস্যকে বলেন, যে পরিমান বিদ্যুৎ লাইনে ক্ষতি হয়েছে তা মেরামত করতে একটু সময় লাগবে। আমাদের ৩শত জনবল কাজ করতেছে। সংসদ সদস্য বলেন, আমি যেখানে যাই সবাই বিদ্যুতের কথা বলেন। আপনারা দ্রুত বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার ব্যবস্থা করেন। গ্রামের মানুষ বিদ্যুৎ বিহীন কস্টে আছেন। তিনি বলেন, গতকাল আজ বৃহস্পতিবার সকালে আয়লা গ্রামে কাজ শুরু করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে যে সব স্থানে বেড়িবাঁধ ক্ষতি হয়েছে তা মেরামত করা হবে। এ ছাড়া যাদের বসত বাড়ি দোকানপাট ক্ষতি হয়েছে তাদের তালিকা করে আর্থিক সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড় রেমালের সময় আমি দেশের বাইরে ছিলাম। আমার দেশে আসার কথা ছিল ৪ তারিখ। আমি যখন জানতে পেলাম আমার নির্বাচনী এলাকা বরগুনা সদর, আমতলী ও তালতলী উপজেলায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এই সংবাদ শুনে আমি সফর সংক্ষিপ্ত করে বুধবার দেশে এসে পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলায় প্রধান মন্ত্রীর প্রোগ্রামে যোগদান করেছি। প্রোগ্রাম শেষ করে আমি আপনাদের দু:খ দূর্দশা দেখতে চলে এসেছি। আয়লা পাতাকাটা ইউনিয়নে বেড়িবাঁধ এত ক্ষতি হয়েছে নিজ চোখে না দেখলে বুঝতাম না। আমি প্রধান মন্ত্রী ও দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রান প্রতি মন্ত্রীর সঙ্গে আলাপ করেছি। দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রান প্রতি মন্ত্রীর মঙ্গলবার বরগুনা আসবেন। আমি তাকে দুর্গত এলাকা দেখাব। আমি চেস্টা করব দুর্গত মানুষের সাধ্যমত সহায়তা দিতে। প্রধান মন্ত্রীও কলাপাড়ায় বলেছেন, রেমালে যারা বসত ঘর হারিয়েছে তাদের ঘর করে দিবেন।