বরগুনা ব্যুরো:
স্মার্ট লিগ্যাল এইড, স্মার্ট বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ। বিনা খরচে আইনী সহায়তা, শেখ হাসিনা দিচ্ছে নিশ্চয়তা। এই শ্লোগান সামনে রেখে জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস উপলক্ষে বরগুনায় জেলা লিগ্যাল এইড কমিটির উদ্যোগে রোববার সকালে বিভিন্ন কর্মসূচীর সূচীর মাধ্য দিয়ে উদযাপিত হয়েছে লিগ্যাল এইড দিবস।
কর্মসূচীর মধ্য ছিল, সকাল সাড়ে ৮ টায় বরগুনা জজ কোর্ট চত্বর হতে র্যালি। সকাল ৮:৫০ ঘটিকায় জজ কোর্ট চত্বর
রক্তদান কর্মসূচি। সকাল ৯ ঘটিকায় জেলা জজ কোর্ট চত্বরে জগন্নাথ পাঁড়ে স্মৃতি মঞ্চে আলোচনা সভা।
জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবসে আলোচনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন লিগ্যাল এইড কমিটির চেয়ারম্যান ও সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো: রফিকুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মোহা: রফিকুল ইসলাম, চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মাহবুব আলম, অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ এএফএম মেজবাহ উল হক, অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হারুন অর রশিদ, পুলিশ সুপার আবদুস সালাম, বিভিন্ন আদালতের বিচারকগণ, লিগ্যাল এইড কর্মকর্তা অনুতোষ বালা, জিপি মো: মজিবর রহমান, পিপি ভুবন চন্দ্র হাওলাদার, বরগুনা আইনজীবী সমিতির সভাপতি মাহবুবুল বারী আসলাম, সাধারণ সম্পাদক মো: হাবিবুর রহমান, বরগুনার গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শুভ্রত বিশ্বাস ও বরগুনা জেলা আইনজীবী সমিতির শতাধিক আইনজীবীগণ। লিগ্যাল এইডের তালিকাভুক্ত শ্রেষ্ঠ আইনজীবী হয়েছেন নার্গিস পারভীন সুরমা। তাকে ক্রেস্ট দিয়ে সম্মানিত করেছেন লিগ্যাল এইড কমিটি। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, জেলা ও দায়রা জজ মো: রফিকুল ইসলাম, জেলা প্রশাসক মোহা: রফিকুল ইসলাম, চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মাহবুব আলম, পুলিশ সুপার আবদুস সালাম, লিগ্যাল এইড কর্মকর্তা অনুতোষ বালা, পিপি ভুবন চন্দ্র হাওলাদার,
বরগুনার গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শুভ্রত বিশ্বাস,
প্রধান অতিথি ও জেলা লিগ্যাল এইড কমিটির চেয়ারম্যান মো: রফিকুল ইসলাম বক্তব্যের শুরুতেই ১৯৭১ সালে এ দেশের জন্য যারা শহীদ হয়েছেন, ১৯৭৫ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু ও ফজিলাতুন্নেছা এবং চার নেতার স্মরন করে বলেন, তারা জীবন দিয়ে এ দেশটি স্বাধীন করেছেন। তিনি ২৮ এপ্রিল লিগ্যাল এইডের তাৎপর্য তুলে ধরেন। তিনি বলেন, জাতির জনকের কন্যা শেখ হাসিনা স্মার্ট লিগ্যাল এইড, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলেছেন। তিনি বলেন, একটি মামলা শুরু হয়ে বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টে পর্যন্ত যায়। মামলা নিষ্পত্তি হতে অনেক সময় লেগে যায়। এ থেকে উত্তোরণের জন্য লিগ্যাল এইড যথেষ্ট। লিগ্যাল এইডে মামলা নিষ্পত্তি হলে দুই পক্ষ জিতে যায়। এই কথা চিন্তা করে প্রধান মন্ত্রী লিগ্যাল এইডের রূপদান করেন। তিনি বলেন, অসহায় বিচার প্রার্থীর জন্য সরকার বিনা খরচে মামলা চালানোর জন্য একজন সিনিয়র সহকারী জজকে লিগ্যাল এইড অফিসার করেছেন। যারা খরচ দিয়ে মামলা চালাতে পারছেন না তারা বিনা খরচে একজন আইনজীবী পাবেন। তিনি জেলা প্রশাসককে উদ্দেশ্যে করে বলেন, আপনি ৩২ থেকে ৩৫ টি কমিটির প্রধান। আপনার নিকট অনেক অসহায় বিচার প্রার্থী আসেন। আপনি তাদের পথ দেখিয়ে দিবেন। একই ভাবে পুলিশ সুপারকে বলেন, আমরা যারা লাল সালুর মধ্যে বসে বিচার পরিচালনা করি। সেই মামলাটি আপনার হাত ধরেই কোর্টে আসে। আপনিও পারেন অসহায় বিচার প্রার্থীদেরকে পথ দেখাতে। তিনি বলেন, লিগ্যাল এইডে রয়েছে আইনজীবী প্যানেল। বিচার প্রার্থীরা তাদের আইনজীবী পছন্দ করে নিতে পারেন।