বরগুনা ব্যুরো:
বাদির ধর্ষণ মামলা মিথ্যা প্রমানিত হওয়ায় তাকে ৪ বছর সশ্রম কারাদন্ডা দিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে তাকে ২০ হাজার টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে আরও এক মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ডের রায় দিয়েছে। বুধবার দুপুরে বরগুনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক ও সিনিয়র জেলা জজ মো: মশিউর রহমান খান এ রায় ঘোষনা করেন।
দন্ডপ্রাপ্ত আসামী হল, বরগুনা সদর উপজেলার উত্তর হেউলিবুনিয়া গ্রামের সোহরাব হোসেন গাজীর স্ত্রী লাইলী বেগম। রায় ঘোষনার সময় আসামী পলাতক ছিল। এ তথ্য নিশ্চিত করেন বিশেষ পিপি মোস্তাফিজুর রহমান।
জানা যায়, দন্ডপ্রাপ্ত আসামী লাইলী বেগম বাদি হয়ে ওই ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ করেন, তার স্বামী রাজ মিস্ত্রী কাজ করতে যায়। বাড়ি খালি থাকার সুযোগে আবদুল মোতালেব মিয়ার ছেলে জলফু মিয়া ২০১৭ সালের ৩১ জুলাই রাত সাড়ে ৮ টায় লাইলী বেগম প্রস্রাব করতে বাইরে নামে। এই ফাঁকে আসামী জলফু মিয়া লাইলী বেগমের বসত ঘরে ঢুকে থাকে। লাইলী বেগম বিছানে গেলে জলফু মিয়া লাইলী বেগমকে জোর করে ধর্ষণ করে।
বাদির মামলা মিথ্যা প্রমানিত হলে আসামী জলফু মিয়া বাদি হয়ে লাইলী বেগমের বিরুদ্ধে ওই ট্রাইব্যুনালে মামলা করে। সাক্ষ্য প্রমানে লাইলী বেগমকে দোষী সাব্যস্ত করে বুধবার উপরোক্ত দন্ডাদেশ প্রদান করে। রাস্ট্র পক্ষের বিশেষ পিপি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, এই রায়ের ম্যাসেজ সবার কাছে পৌছলে মিথ্যা মামলা করার প্রবনতা কমে আসবে। আসামী পলাতক থাকায় যোগাযোগ করা যায়নি।