বরগুনা ব্যুরো:
বরগুনা সদর উপজেলায় পল্লী বিদ্যুতের অসহনীয় লোডশেডিংয়ে ঈদের আনন্দ ম্লান হতে পারে। লোডশেডিংয়ে গ্রামের জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। গত কয়েক দিন থেকেই রমজানের ইফতার, সেহরি ও তারাবির নামাজের সময় বিদ্যুৎ থাকছে না। কদরের রাতে সবচেয়ে বেশী লোডশেডিং ছিল।
লোডশেডিংয়ে চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন উপজেলা ১০ ইউনিয়নের পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহকরা। এদিকে রমজান মাসে ইফতার, সেহরি ও নামাজের সময় বিদ্যুৎ না পাওয়ায় চরম ক্ষোভ প্রকাশ করছেন মুসল্লিরা।
জানা যায়, উপজেলাজুড়ে পল্লী বিদ্যুতের প্রায় ৭২ হাজার গ্রাহক রয়েছে। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ১টি সাবস্টেশন ৬টি ফিডারে ভাগ করে বিদ্যুৎ বিতরণে করা হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এবারে লোডশেডিংয়ে মাত্রা চরম আকার ধারণ করেছে। দিন-রাত ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ৮ থেকে ১০ ঘন্টা লোডশেডিং দিচ্ছে। ঈদ উপলক্ষে ঢাকা থেকে হাজারো মানুষ গ্রামে আসতেছে। অতিমাত্রায় লোডশেডিং হলে এবারের ঈদ আনন্দ ম্লান হতে পারে। রমজানের শুরু থেকে মাগরিবের নামাজ, তারাবির নামাজ ও সেহরির সময় বিদ্যুৎ থাকে না। ওই সময় বিদ্যুৎ না থাকায় অনেক মুসুল্লিরা বিরুপ মন্তব্য করেন। অন্যদিকে প্রচণ্ড দাবদাহ, ভ্যাপসা গরম। পল্লী বিদ্যুতের ব্যাপক লোডশেডিংয়ের ফলে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। এমনকি কোনো কোনো এলাকায় সারা দিন-রাতে বেশির ভাগ সময়ই বিদ্যুৎ থাকছে না। কদমতলা বাজারের ব্যবসায়ী আলহাজ্ব মো: শাহজাহান মুন্সী বলেন, এবারের মত লোডশেডিং আর কখনো দেখিনি। বয়স্ক ও শিশুদের কস্ট বেশী। মুসুল্লিরা ঠিকমত নামাজ আদায় করতে পারছেন না। পূর্ব কেওড়াবুনিয়া গ্রামের অধ্যক্ষ এবিএম বশির উদ্দিন বলেন, ঝড় বৃষ্টি হলে একটানা ১০/১২ ঘন্টা বিদ্যুৎ বন্ধ করে রাখে। অফিসে ফোন দিলে তারা জানান, লাইনে গাছ পড়েছে। ঠুকনো অজুহাত দেখিয়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে রাখেন ঘন্টার পর ঘন্টা। তিনি বলেন, বরগুনা জেলা সদরে বিদ্যুৎ যায় না। অথচ গ্রামের মানুষ বিদ্যুৎ পাচ্ছেন না।
বরগুনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মো: আরব আলী শেখ বলেন, বরগুনা সদরে ১০টি ইউনিয়নে দৈনিক ১২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ প্রয়োজন। আমরা পাই ৬ থেকে ৮ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। উৎপাদন বেশী হলে ৯ মেগাওয়াট পর্যন্ত বিদ্যুৎ পাই। আমাদের ৬টি ফিডারে ভাগ করে দিতে হয়। যেখানে ১২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ দরকার সেখানে অর্ধেক পাই। সেই তুলনায় লোডশেডিং তেমন নয়। তিনি আরও বলেন, ঈদে বিদ্যুৎ উৎপাদনের চেয়ে ব্যবহার কম হবে। এ কারনে লোডশেডিং অনেকটা কম হবে।