বরগুনায় কলেজ ছাত্রীকে অপহরণ; ৮ মাস পরে ধর্ষণ মামলা

BanglaPost21

বরগুনা ব্যুরো:
নাবালিকা কলেজ ছাত্রী নিখোঁজের ৮ মাস পরে মামলা করেছে তার মা। মঙ্গলবার বরগুনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক ও সিনিয়র জেলা জজ মো: মশিউর রহমান খান  মামলাটি গ্রহন করে বরগুনা জেলা গোয়েন্দা শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে ৭ দিনের মধ্যে অনুসন্ধান প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। আসামীরা হল, টাঙ্গাইল জেলার কালিহাতি উপজেলার বড়বাজু গ্রামের মোঃ রাশেদ আলীর ছেলে মনির হোসেন, তার বাবা রাশেদ আলী ও আবদুল্লাহ।

জনা যায়, বাদি ওই ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ করেন, তার মেয়ে বরগুনা জেলার আমতলী একটি মহিলা কলেজে একাদ্বশ শ্রেণিতে পড়াশোনা করে। ফেসবুকের মাধ্যমে আসামী মনির হোসেনের সঙ্গে পরিচয় হয়। এক সময় বাদির মেয়ে ও মনিরের মধ্যে সম্পর্ক হয়। মনির আমতলী এসে বাদির মেয়েকে বিয়ে করার প্রস্তাব দেয়। বাদির মেয়ে তার মায়ের কাছে জানায়। কলেজ ছাত্রীর বিয়ের বয়স না হওয়ায় বিয়ের প্রস্তাব নাকচ করে দেয় মেয়েটির পরিবার। এতে মনির ক্ষুব্দ হয়। গত বছরের ১৮ এপ্রিল বাদির মেয়ে সকালে আমতলীর একটি মহিলা কলেজে যাওয়ার পথে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর পূর্বক ভয়ভীতি দেখিয়ে মনির ও তার বন্ধুরা মাইক্রোবাসে তুলে অপহরন করে নিয়ে যায়। কলেজ ছাত্রীকে অপহরণ করে নেওয়ার সময় মোজাম্মেল হক দেখতে পেয়ে বাধা দিলেও থামাতে পারেনি।

বাদি বলেন, আমরা বিভিন্ন স্থানে খোজা খুজি করে গত বছর ১৯ জুলাই  আমতলী থানায় একটি সাধারন ডায়েরী করি। অনেক খোজাখুজির পর তথ্য পেয়ে আসামীদের বাড়ি গিয়ে ২ ও ৩ আসামীদের পেলেও মনির ও আমাদের মেয়েকে পাইনি। ২ ও ৩ নম্বর আসামী আমাদের বলেন, কিছুদিনের মধ্যে আপনাদের মেয়েকে পেয়ে যাবেন। আমরা মেয়েকে পাব বলে অধীর আগ্রহে ছিলাম। দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হলেও আমাদের মেয়েকে পাইনি। পরবর্তীতে আমার নাবালিক কন্যা ফোনে আমার সাথে যোগাযোগ করে। মনির আমার মেয়েকে কিছু বলতে নিষেধ করে। আমার মেয়েকে মনির কোথাও আটক করে ধর্ষণ করে যাচ্ছে। এ ঘটনায় আমরা আমতলী থানায় ১৫ মার্চ মামলা করতে গেলে থানা মামলা নেয়নি। আসামীদের বাড়ি দূরে থাকায় তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।
আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বলেন, এ ব্যাপারে অনেক দিন আগে একটি জিডি হয়েছে। এরপর আর কেহ থানায় মামলা করতে আসেনি। বাদি আমার বিরুদ্ধে অসত্য কথা বলেছেন।