বরগুনা ব্যুরো:
ঘূর্ণিঝড় রেমালে বরগুনার বিভিন্ন ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা মঙ্গলবার পরিদর্শন করেন পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক এমপি। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন, বরগুনা-১ আসনের সংসদ সদস্য গোলাম সরোয়ার টুকু, বরগুনা-২ আসনের সংসদ সদস্য নাদিরা সুলতানা, সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য ফারজানা সুমি, জেলা প্রশাসক মোহা: রফিকুল ইসলাম, পুলিশ সুপার আবদুস সালাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শুভ্রা দাস, বরগুনা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: শামিম মিঞা, পাথরঘাটা, বামনা, বেতাগী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাগণসহ পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তা।
জানা যায়, তিনি মঙ্গলবার সকাল ১১ টায় ঢাকা থেকে হেলিকপ্টার যোগে বরগুনার পাথরঘাটা পৌছেন। সেখান থেকে তিনি স্পীড বোডে পাথরঘাটা উপজেলার কাকচিড়া, কালমেঘা ও জিনতলা এলাকা পরিদর্শন করবেন।
পরে মন্ত্রী বামনা উপজেলার রামনা এলাকার বেড়িবাঁধ পরিদর্শনে যান। বেতাগী উপজেলার কালিকাবাড়ী বন্যা দুর্গত এলাকা পরিদর্শন শেষে বরগুনা সদর উপজেলার বদরখালি, ডালভাঙ্গা এলাকায় ঘূর্ণিঝড় “রেমাল” এর তান্ডবে ক্ষতিগ্রস্থ বেড়িবাঁধ পরিদর্শন করে ডালভাঙ্গায় সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মন্ত্রী বলেন, আমি বেড়িবাঁধ ও জনগণের দুর্দশা দেখে গেলাম। যে সব বেড়িবাঁধ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বা যে সব জায়গায় বেড়িবাঁধ নেই সেই সব জায়গায় বেড়িবাঁধ করে দেওয়া হবে। তিনি বলেন, প্রধান মন্ত্রী আমাকে বন্যা দুর্গত এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা দেখতে বলেছেন। প্রধান মন্ত্রী ৩০ মে যখন কলাপাড়া আসছিলেন তখন হেলিকপ্টারে বসে ঘুরে দেখে গেছেন। তিনি বলেন, আপনারা নদীর পাড়ের মানুষ। আমিও নদীর পাড়ের মানুষ। নদী ভাঙ্গনের মানুষের কী কস্ট তা আমি জানি। আপনারা দক্ষিনের মানুষ। বন্যা ঝড় বৃষ্টিতে সব সময় কস্ট করেন। আমরা আপাতত ছোট আকারে বাঁধ দেব। আমরা চাই নদী ভাঙ্গনের মানুষ শান্তিতে থাকুক। এ সময় উপস্থিত জনগণ বেড়িবাঁধ চায়। জনগণের উদ্দেশ্য তিনি বলেন, সরকারের পক্ষে সারাদেশে বেড়িবাঁধ দেওয়া সম্ভব নয়। আপনারা নদীর পাড়ে গাছ লাগান। গাছ অনেকটা ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করবে।
তিনি বরগুনা-১ আসনের সংসদ সদস্য গোলাম সরোয়ার টুকুকে উদ্দেশ্য করে বলেন, বন্যার পর থেকে আপনাদের সংসদ সদস্য গোলাম সরোয়ার টুকু আমাকে প্রতিদিন ফোন দিতেন। তিনি আপনাদের দুর্দশার কথা বলেছেন। আপনারা একজন ভালো সংসদ সদস্য পেয়েছেন। তার দ্বারা এলাকার উন্নয়ন মূলক কাজ হবে।