বরগুনা ব্যুরো:
বরগুনা শহরকে নিরাপত্তার আওতায় আনতে জেলা পুলিশের উদ্যোগে স্থাপন করা হয়েছে অর্ধশত ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরা। সম্প্রতি জেলা পুলিশ ও পৌর মেয়রের যৌথ উদ্যোগে বরগুনা পৌর এলাকায় গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও স্থানে বসানো হয়েছে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা। শহরকে কঠোর নজরদারিতে আনতে ও শহরবাসীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অর্ধশত ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে।
জানা যায়, যানজট নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি ছিনতাই, মাদক দ্রব্য কেনাবেচাসহ কমবে অপরাধ প্রবণতা। ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা স্থাপনে সহযোগিতা করেছে বরগুনা পৌরসভা।
জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয় সূত্র মতে জেলা শহরের গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন স্থানে ৫০টি ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরা বসানো হয়েছে। রাস্তাঘাট, অলিগলি, যানবাহন স্ট্যান্ডসহ বেশিরভাগ স্থানই এখন জেলা পুলিশের নজরদারিতে। এলাকার কয়েক লাখ মানুষের চলাচলে বেড়েছে নিরাপত্তার বলয়।এখন থেকে দিন রাত ২৪ ঘন্টা ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরায় করা হবে পর্যবেক্ষণ। পর্যায়ক্রমে ক্যামেরার সংখ্যা আরও পরিসর বৃদ্ধি করা হবে বলেও জানায় আইন শৃংখলা বাহিনী। এ ছাড়া ক্যামেরার সঙ্গে লাইট সংযুক্ত থাকায় আলোক স্বল্পতা থাকলেও স্পষ্ট রঙ্গিণ ভিডিও পাওয়া যাবে। পুলিশ সুপার তার অফিস কক্ষে বসে বরগুনা পৌরসভার সব কয়টি পয়েন্ট নজরদারি করতে পারবেন।
বরগুনা পাবলিক পলিসি ফোরামের সভাপতি হাসানুর রহমান ঝন্টু বলেন, ক্লোজ সার্কিট (সিসি)ক্যামেরা আমাদের নাগরিকদের নিরাপত্তা বৃদ্ধি করবে। তবে স্থাপিত এই ক্যামেরাগুলো নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ করতে হবে, তা না হলে এই ভালো উদ্যোগের সুফল পাওয়া যাবে না।’
শহরকে ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরার আওতায় আনার প্রসঙ্গে বরগুনা আইনজীবি সমিতির সদস্য এম মজিবুল হক কিসলু বলেন, একজন নাগরিক হিসেবে এই উদ্যোগকে পুলিশ সুপার আবদুস সালাম ও পৌর মেয়র মো: কামরুল আহসান মহারাজকে সাধুবাদ জানাই। তাদের এই কর্মকাণ্ডের ফলে সামাজিক নিরাপত্তা বাড়বে। রাতদিন সাধারণ জনগণ নিরাপদে চলাফেরা করতে পারবেন। বিশেষ করে আসন্ন ঈদের বাজার সবার জন্য নিরাপদ হবে।
বরগুনার পুলিশ সুপার আবদুস ছালাম পিপিএম মঙ্গলবার বলেন, নাগরিকদের সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে কঠোর পুলিশিং নজরদারির জন্য সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। শহরের বাণিজ্যিক এলাকা থেকে শুরু করে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, আবাসিক এলাকা এমনকি শহরে প্রবেশের প্রত্যেকটি সড়কে স্থাপন করা হয়েছে সিসি ক্যামেরা। এর মাধ্যমে সুরক্ষিত হয়েছে নাগরিকদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। শহরজুড়ে অর্ধশত সিসি ক্যামেরা দিয়ে পুলিশ নজরদারি করছে সবকিছু। আমরা পুরো সিস্টেমগুলো কন্ট্রোল করার জন্য দক্ষ টিম তৈরি করেছি। তারা মনিটরিং করছে সব সময়। আমি নিজেও আমার অফিস কক্ষে বসে শহর মনিটরিং করতে পারি। অল্পদিনের মধ্যে সিসি ক্যামেরার পরিধি বাড়ানো হবে।
বরগুনা-১ আসনের সংসদ সদস্য গোলাম সরোয়ার টুকু বলেন, জনগণকে সঙ্গে নিয়ে দেশের উন্নয়ন ও শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে বর্তমান সরকার কাজ করে যাচ্ছে। জনগণের জানমালের নিরাপত্তা দিতে সরকার বদ্ধপরিকর। তিনি আরও বলেন, জেলা পুলিশ ও পৌর মেয়র যে উদ্যোগ নিয়েছেন, এ জন্য তাদেরকে তিনি অভিনন্দন জানান। তিনি বলেন, আইটির যুগে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে আমাদের নতুন নতুন চ্যালেন্স মোকাবেলা করতে হবে। সিসি ক্যামেরার পরিধি বাড়াতে যে টুকু সহযোগিতা প্রয়োজন আমি তা করব।