বরগুনা ব্যুরো:
আমতলী পৌরসভার নব নির্বাচিত পৌর মেয়র ও কাউন্সিলদের অভিষেক অনুষ্ঠান আজ মঙ্গলবার সকালে পৌরসভার সামনের মাঠে অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, বরগুনা-১ আসনের সংসদ সদস্য গোলাম সরোয়ার টুকু।
নবনির্বাচিত পৌর মেয়র মো: মতিয়ার রহমানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, বরগুনা পৌর মেয়র কামরুল আহসান মহারাজ, বেতাগীর পৌর মেয়র এবিএম গোলাম কবির, আমতলী উপজেলা চেয়ারম্যান এম এ কাদের, তালতলীর উপজেলা চেয়ারম্যান রেজবি উল কবির, আমতলী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জিএম ওচমানী হাসান ও নব নির্বাচিত কাউন্সিলরগণ।
পৌর মেয়র মতিউর রহমান বলেন, আমি পরপর তিনবার আপনাদের ভোটে মেয়র নির্বাচিত হয়েছি। আমি অবহেলিত আমতলী পৌরসভাকে আধুনিক পৌরসভায় রুপ দিয়েছি। আমি যখন প্রথম মেয়র নির্বাচিত হয়েছি তখন কোনো পৌর ভবন ছিল না। আমি অক্লান্ত পরিশ্রম করে আমতলী পৌরসভাকে সাজিয়েছি। করেছি আধুনিক পৌর ভবন। আমি সবার সহযোগিতা পেলে আমতলী পৌরসভাকে আরও সুন্দর করে তুলব।
প্রধান অতিথি বলেন, আমি এমপি হয়েছি ৪ মাস। এর মধ্যে যতটুকু বরাদ্দ পেয়েছি তিনটি উপজেলা ও দুটি পৌরসভায় সমান ভাবে ভাগ করেছি। তিনি বলেন, দেশের ৬৪টি জেলার মধ্যে সবচেয়ে গরীব জেলা হল বরগুনা। এত অনুন্নত জেলা দেশে কোনো জেলা আছে কিনা আমার জানা নেই। তিনি বলেন, বরগুনা একটি সম্ভাবনাময় জেলা হওয়া সত্বেও বিগত দিনে এ জেলায় কোনো মেগা প্রকল্পের কাজ হয়নি। বরগুনায় ক্যান্টনমেন্ট হবার কথা থাকলেও সেটি চলে গেল লেবুখালী। পায়রা পোর্ট হবার কথা ছিল তালতলী। কেন তালতলীর পোর্ট কলাপাড়া গেল তা এই জনপদের জনগণ জানেন। আমরা সব কিছু থেকে পদে পদে বঞ্চিত হয়েছি। আমাকে যদি আল্লাহ বাঁচিয়ে রাখেন, আমি চেস্টা করব বরগুনা জেলাকে উন্নয়নের শেখরে তুলতে। তিনি জনগণের উদ্দেশ্য বলেন, আপনারা জেনে রাখুন, আপনাদের এমপি ঘুষ খায় না। জেনে শুনে কোনো অন্যায় করবে না। আমি যদি ঘুষ না খাই তাহলে আমার সংসদীয় এলাকার কোনো অফিসার অন্যায় ভাবে কিছু গ্রহন করবেন না। আমি যা বরাদ্দ পাব তা জনগণ জানতে পারবেন। আমার কোনো কিছু গোপন থাকবে না। সব কিছু জনসম্মুখে প্রকাশ করে দেব। তিনি আমতলী বাসির উদ্দেশ্য বলেন, আমতলীকে আরও সুন্দর করে সাজাতে হবে। আমতলীর চৌরাস্তা থেকে থানা পর্যন্ত এমন ভাবে সৌন্দর্য বর্ধন করতে যে দূরের মানুষ দেখতে আসেন। আমতলী সরকারী কলেজ ও বালিকা বিদ্যালয় রয়েছে। এমন ভাবে ব্যবসায়ীরা দোকানপাট করেছে প্রতিষ্ঠান খুঁজে পাওয়া কস্টকর। উন্নত পৌরসভ করতে হলে আমাদের আরও বেশী বেশী কাজ করতে হবে। তিনি মেয়রকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আমতলী পৌরসভাকে নান্দনিক করতে এমপির সব সময় সহযোগিতা থাকবে।