অনলাইন ডেস্ক:
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে সৃস্ট ঘটনায় অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথিকে ৮ সপ্তাহের জন্য আগাম জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে আসামি অ্যাডভোকেট শাকিলা রৌশন, ব্যারিস্টার চৌধুরী মৌসুমী ফাতেমা (কবিতা) ও সাবেক সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো: জাকির হোসেন মাসুদকেও আগাম জামিন দিয়েছেন। বুধবার বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমান ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসেন দোলনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দিয়েছেন।
বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ২০২৪-২৫ সালের নির্বাচনে ভোট গণনাকে কেন্দ্র করে হট্টগোল, হাতাহাতি ও মারামারির ঘটনায় রাজধানীর শাহবাগ থানায় দায়ের হওয়া মামলায় বুধবার বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমান ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসেন দোলনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। এই মামলায় এক নম্বর আসামি নাহিদ সুলতানা যুথি। তিনি যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশের স্ত্রী।
বুধবার আদালতে নাহিদ সুলতানা যুথিসহ আসামিদের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী এম কে রহমান, অ্যাডভোকেট শেখ আওসাফুর রহমান বুলু। সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট আহসানুল করিম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কে এম মাসুদ রুমি।
মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনের স্বতন্ত্র সম্পাদক প্রার্থী অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথির জামিন আবেদন শুনতে নতুন বেঞ্চ নির্ধারণ করে দেন প্রধান বিচারপতি। বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্টে বেঞ্চে তার জামিন আবেদনটি শুনানির জন্য পাঠানো হয়।
গত ১৮ মার্চ বিচারপতি মো. সেলিমের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চের এক বিচারক নাহিদ সুলতানা যুথির জামিন আবেদন শুনতে বিব্রতবোধ করেন।
গত ১৪ মার্চ হাইকোর্টে আগাম জামিন আবেদন করেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনের স্বতন্ত্র সম্পাদক প্রার্থী অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথি।
গত ৮ মার্চ রাতে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ২০২৪-২৫ সালের নির্বাচনে ভোট গণনাকে কেন্দ্র করে হট্টগোল, হাতাহাতি ও মারামারির ঘটনায় রাজধানীর শাহবাগ থানায় মামলা দায়ের করা হয়। মামলায় স্বতন্ত্র সম্পাদক প্রার্থী অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথি, বিএনপির প্যানেলের সম্পাদক প্রার্থী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজলসহ ২০ জনকে আসামি করা হয়।
সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুর রহমান চৌধুরী সাইফ তাকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর রাতেই ব্যারিস্টার ওসমান চৌধুরীকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
মামলার অন্য আসামিরা হল, অ্যাডভোকেট মো. জাকির হোসেন মাসুদ, অ্যাডভোকেট শাকিলা রৌশন, অ্যাডভোকেট কাজী বশির আহম্মেদ, ব্যারিস্টার উসমান, অ্যাডভোকেট আরিফ, অ্যাডভোকেট সুমন, অ্যাডভোকেট তুষার, রবিউল, ব্যারিস্টার চৌধুরী মৌসুমী ফাতেমা (কবিতা), সাইদুর রহমান জুয়েল, অলিউর, যুবলীগ নেতা জয়দেব নন্দী, মাইন উদ্দিন রানা, মশিউর রহমান সুমন, কামাল হোসেন, আসলাম রাইয়ান, অ্যাডভোকেট তরিকুল ও অ্যাডভোকেট সোহাগ। এ ছাড়া ৩০/৪০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। এ মামলায় গ্রেফতার হয়ে কারাগারে আছেন, সুপ্রিম কোর্ট বারের সম্পাদক প্রার্থী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল।